সিলেটে মা ও মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার আদালতের নির্দেশে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগের দিন ধর্ষণের ঘটনায় ওসমানীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা মা।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ওসমানীনগর নগর উপজেলার গোয়ালাবাজার সুপ্রিম ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক মতিন খান ও ফিলিং স্টেশনের পার্শ্ববর্তী বগুড়া রেস্টুরেন্টের মালিক বুলবুল ফকির। মতিন ও বুলবুল পরস্পরের বন্ধু। ধর্ষণের শিকার মা ও মেয়েকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নেত্রকোনো জেলার বাসিন্দা ওই নারী বুলবুলের মালিকানাধীন বগুড়া রেস্টুরেন্টে প্লেট ধোয়া ও মসলা বাটার কাজ করতো।রেস্টুরেন্টের অনতিদূরে তিনি তার কিশোরী মেয়েকে নিয়ে একটি বাসা ভাড়া করে থাকতেন। মতিনের সাথে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সুবাধে গত ১৪ জুন মতিন মায়ের অনুপস্থিতিতে বাসায় গিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এরপর ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ২০ জুন মেয়েটিকে নিয়ে সিলেট শহরের একটি হোটেলে ওঠে মতিন।
সেখানে কয়েকবার ধর্ষণ করে সে। বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়েটি তার মায়ের কাছে সবকিছু খুলে বলে। মা মতিনের বন্ধু রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুলকে জানালে সে উল্টো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গত ১ আগস্ট দুপুরে মতিন ও বুলবুল মিলে ওই নারীর বাসায় যায়। এসময় মতিন মেয়েকে ও বুলবুল মাকে ধর্ষণ করে বাসা থেকে বের করে দেয়। পরে গত বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা ওই নারী ওসমানীনগর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোয়ালাবাজার থেকে মতিন ও বুলবুলকে গ্রেফতার করে। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম মাঈন উদ্দিন জানান, মা ও মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এরপর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।