সিলেটে ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমদ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি নোমান হাসনুর আত্মসমর্পণ করেছে। বুধবার ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করলে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন দিলু।বুধবার দুপুরে একই আদালতে হাছুন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
হাছনুর সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। গত শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমদকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান ও তার সহযোগীরা। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। পরদিন, নিহতের ভাই বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় আন্দোলনে ফুঁসে ওঠেন সিলেটের ব্যাংকার ও নাগরিক প্রতিনিধিরা। এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে আন্দোলনে রাস্তায় নেমে আসেন তারা। সিলেটের সর্বস্তরের ব্যাংক কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ, ব্যাংক কর্মচারী ফেডারেশন, অগ্রণী ব্যাংক কর্মচারী সংসদ, সোনালী ব্যাংক, তরুণ পেশাজীবি সমিতি ও অগ্রণী ব্যাংক অফিসার্স সমিতি সিলেট এরকম কয়েকটি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকালে জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় নগরীর বন্দরবাজারে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ (৩৫)। একপর্যায়ে চালক নোমান হাছনুরের (২৮) সাথে ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয় মওদুদের।
তখন হাছনুরসহ সিএনজি অটোরিকশা চালকরা মওদুদ আহমেদকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর পর হত্যাকাণ্ডকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে প্রচার চালায় পরিবহন শ্রমিকরা।
নিহত মওদুদের বড়ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে সিএনজি অটোরিকশাচালক নোমান হাছনুর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।