সিলেট মহানগরীর বিমানবন্দর থানাধীন ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ঘুরে বেড়ানোর কথা বলে ফুসলিয়ে অপহরণ করা হয়। পরে কিশোরীকে সিএনজি অটোরিকশা করে দক্ষিন সুরমার টেকনিক্যাল রোডের গোলাম আলী নামের এক ব্যক্তির কলোনীতে নিয়ে যাওয়া হয়। কলোনীর একটি কক্ষে কিশোরীর মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণ করে রুবেল মিয়া (২৮) নামের এক যুবক। এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত রুবেল কোতোয়ালি থানাধীন বাগবাড়ী (হানিফ আলীর কলোনীর) মৃত সাইম উদ্দিনের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার ১ এপ্রিল বিকেলে অপহরণের ঘটনাটি ঘটে। এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে শনিবার ৩ এপ্রিল বিমানবন্দর থানায় রুবেলকে আসামী করে মামলা নং-৬ দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) আশরাফ উল্যাহ তাহের। তিনি বলেন, কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অপরাধে রুবেল মিয়া নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১ মার্চ বিকাল ৫টার দিকে কিশোরী নিজের বাসা থেকে বিমানবন্দর এলাকাস্থ তার নানার বাড়ীতে পায়ে হেঁটে যাওয়ার পথে রুবেল মিয়া কিশোরীকে ঘুরে বেড়ানোর কথা বলে সিএনজি অটোরিকশা করে দক্ষিণ সুরমা নিয়ে যায়। সেখানে টেকনিক্যাল রোডের গোলাম আলী নামের এক ব্যক্তির কলোনীর একটি কক্ষে কিশোরীকে ধর্ষণ করে রুবেল।
পরে কিশোরীকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে শুক্রবার ২ এপ্রিল দিবাগত রাত পর্যন্ত কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। এসময় কিশোরী চিৎকার শুরু করলে রুবেল তার মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ধর্ষন করে। পরে ভিকটিমের পিতা রুবেলের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে তাকে কৌশলে বিমানবন্দর থানাধীন কুরবানটিলা নিয়ে আসা হয়। পরে কিশোরীর পরিবার জাতীয় জরুরী নাম্বারে ফোন করে পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ রুবেলকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি কিশোরীকে উদ্ধার করে।