সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করেছে মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। শুক্রবার (২৫) সেপ্টেম্বর রাত ৮ টার দিকে নগরীর টিলাগড়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত এসব কর্মীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এমসি কলেজে তরুণীকে ধর্ষণের সাথে ছাত্রলীগের ৬জন নেতা জড়িত ছিলেন। এরা হলো, এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও কলেজটিতে ইংরেজিতে মাস্টার্সে অধ্যয়রত শাহ মাহবুবুর রহমান রণি, এক শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মাছুম, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম সাইফুর রহমান, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা অর্জুন এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ও তারেক। এদের মধ্যে সাইফুর রহমানের বাড়ি বালাগঞ্জে, রবিউলের বাড়ি দিরাইয়ে, মাহফুজুর রহমান মাছুমের বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ি এলাকায়, অর্জুনের বাড়ি জকিগঞ্জে, রণি হবিগঞ্জের এবং তারেক জগন্নাথপুরের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,ধর্ষিত তরুণী তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজের ঘুরতে আসেন। ঘুরার এক পর্যায়ে রাত ৮ টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের গেইটের বাইরে বের হন। এসময় কয়েকজন যুবক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চান। এতে তরুণীর স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধোর শুরু করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এক পর্যায়ে তরুণী ও তার স্বামীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এমসি কলেজের হোস্টেলে নিয়ে যান। সেখানে স্বামীকে বেঁধে ছাত্রলীগের তিন-চারজন নেতাকর্মী তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
ভিকটিমের বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় বলে জানা যায়। খবর পেয়ে শুক্রবার রাত ১০টায় শাহপরাণ থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে প্রেরণ করে।
এদিকে ঘটনার পরপর র্যাব-৯ সিলেটের এএসপি সামিউল আলম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহা. সোহেল রেজা পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহা. সোহেল রেজা পিপিএম জানান- রাত ৯টার দিকে তিন-চারজন মিলে এমসি কলেজ গেট থেকে ওই তরুণীকে ধরে নিয়ে যায়। এসময় তার স্বামী বাঁধা দিলে তাকেও মারধর করে তারা। পরে তাকে বালুচরস্থ কলেজ হোস্টেলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।
অরক্ষিত ছাত্রাবাসে প্রতিদিন বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বহিরাগতের আনাগোনার পাশাপাশি অনেকেই মাদক সেবন করেন। সেই সাথে জুয়ার আসরও বসে বলে বিভিন্ন সুত্রে জনা যায়।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন