সিরাজগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় তরিকুল ইসলাম খান নামে বিজয়ী এক কাউন্সিলর প্রার্থী খুন হয়েছেন। আজ শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ফল ঘোষণার পরে দুর্বৃ্ত্তের ছুরিকাঘাতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
তরিকুল ইসলাম খান পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে বেসরকারি ফলাফলে বিজয় লাভ করেছিলেন।
জানা গেছে, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে শহীদগঞ্জ কেন্দ্রে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত ৮টায় তিনি মারা যান।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা তাকে ছুরিকাঘাত করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে সিরাজগঞ্জে ৫টি পৌরসভার নির্বাচনে চারটি পৌরসভার বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত ফলাফলে রায়গঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল পাঠান নৌকা প্রতীকে ৮৯৭০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের জাহিদুল ইসলাম জাহিদ পেয়েছেন ৫৭৫ ভোট।
কাজিপুর পৌরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হান্নান তালুকদার বিজয়ী হয়েছেন। বেলকুচি পৌরসভায় যুবলীগ থেকে বহিস্কৃত সাজ্জাদুল হক রেজা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতীকে ১৮৩৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আশানুর বিশ্বাস পেয়েছেন ১২৭৮৪ ভোট।
উল্লাপাড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এসএম নজরুল ইসলাম নৌকা প্রতীকের ২৪৫০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পেয়েছেন ১০৭৬ ভোট।