সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে ‘প্রক্সি’ জালিয়াতিতে ধরা পড়েছেন মোছা. রোজি আক্তার (২৭) নামের এক চাকরিপ্রার্থী। রোজি হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন আরেকজন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য খন্দকার মুনছুর রহমান। তিনি জানান, গত ৮ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় অংশ নিয়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন রোজি আক্তার।
পরে বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে আসেন তিনি; কিন্তু লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার সময় হাতের লেখায় গরমিল দেখা দেয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তার হয়ে আরেকজনের পরীক্ষা দেওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন।
শিক্ষা কর্মকর্তা আরও বলেন, তার হয়ে যিনি খাতা জমা দিয়ে গেছেন, তার স্বাক্ষর আর রোজি আক্তারের স্বাক্ষরে অমিল থাকায় জালিয়াতির বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়।
সদর থানার ওসি এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।