শ্রীমঙ্গল থানাধীন ৪নং সিন্দুরখান ইউনিয়নের অন্তর্গত পশ্চিম বেলতলী সাকিনস্থ উদনার ছড়া ব্রিজের নিচে কে বা কারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বস্তা বন্দি অবস্থায় অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ ফেলে যায়।
এসআই/মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বাদী হয়ে উক্ত বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা রুজু হয় এবং পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মো: হুমায়ূন কবির মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন। মামলা রুজুর মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে মাননীয় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া মহোদয়ের নির্দেশে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আশরাফুজ্জামান, শ্রীমঙ্গল স্যারের বলিষ্ট নেতৃত্বে এবং অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুছ ছালেক ও সঙ্গীয় অন্যান্য পুলিশ অফিসারদের সহায়তায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: হুমায়ুন কবির উক্ত হত্যাকান্ডে জড়ির মূল আসামী মো: মসুদ মিয়া (৬২), পিতা-মৃত এখলাছ মিয়া, মাতা-জমিলা বিবি, সাং-রামনগর (জুরাপুল), থানা- শ্রীমঙ্গল, জেলা-মৌলভীবাজারকে গ্রেফতার করেন এবং গ্রেফতারকৃত আসামীর নিকট হতে মৃতা ডলি আক্তার (২৮) এর বাবার বাড়ির নাম-ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ পূর্বক ওয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছবি সংগ্রহ করে আসামীর সঠিক পরিচয় সনাক্তকরণ করা হয়।
প্রাথমিকভাবে গ্রেফতারকৃত আসামী ঘটনার বিষয়ে দায় স্বীকার না করলেও পরবর্তীতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ফলে মৃত ডলি আক্তার (২৮) গ্রেফতারকৃত আসামীর ৪র্থ স্ত্রী বলে স্বীকার করে এবং পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে হত্যা করে লাশ বস্তা বন্দি অবস্থায় শ্রীমঙ্গল থানাধীন পশ্চিম বেলতলী গ্রামের উদনাছড়া ব্রিজের নিচে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিচারের নিমিত্তে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।