রংপুরের পীরগঞ্জে পুত্রবধূর সঙ্গে শ্বশুরের পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় শ্বশুর কপিল উদ্দিন (৬০) কে আটক করছে পুলিশ। সোমবার (৩১ মে) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কপিল উদ্দিন উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরাবাদ মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, কফিল উদ্দিন (৬০) এর ছেলে বদরুল ইসলাম স্ত্রী মনিরা বেগমকে বাড়িতে রেখে ঢাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। ছেলের অনুপস্থিতিতে শ্বশুর কপিল উদ্দিন পুত্রবধূ মনিরা বেগমের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক জানাজানি হলে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠকও হয়। সেখানে কপিল উদ্দিন নিজের দোষ স্বীকার করে আর এমন হবে না বলে ক্ষমা চায়। এরই একপর্যায়ে গত ২৭ মে গভীর রাতে কফিল উদ্দিন তার পুত্রবধূর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে স্ত্রী পোশাগী বেগম (৫৫) তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এ ঘটনায় শ্বশুর কফিল উদ্দিন তার স্ত্রী পোশাগীকে বেদম মারপিট করে। স্ত্রী পোশাগী বেগম (৫৫) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার বিকালে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনায় স্ত্রী পোশাগী বেগমের (৫৫) ছোট ভাই মীর মোশারফ হোসেন বাদি হয়ে তার ভগ্নীপতি কফিল উদ্দিন, ভাগ্নে বদরুল ও তার স্ত্রী মনিরা বেগমকে আসামি করে পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
রংপুরের পীরগঞ্জ থানার ওসি সরেস চন্দ্র জানান, স্ত্রী পোশাগী বেগমের (৫৫) লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কফিল উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।