রশিদুর রহমান রানা, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রনি মিয়ার বাড়িতে পেট্রোল বোমা হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা৷ এসময় যুবদল নেতা রনিকে বাড়িতে ঢুকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যা ৬টার দিকে অন্তত ৪-৫ টি মোটরসাইকেল যোগে দুর্বৃত্তরা বাড়ির সামনে নেমেই পেট্রোল বোমা ও ককটেল বিস্ফোরন করে। এসময় বিকট শব্দে বাড়ির লোকজনসহ আশেপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে এদিক সেদিক ছুটতে থাকে।
আহত যুবদল নেতা রনি বলেন, নাগরিক ঐক্যের অমিত, বিদ্যুত, এনামুল হক সরকার, পিয়াল, সাগর ও খোকনের নেতৃত্বে ৮-১০ জন দুর্বৃত্ত বিস্ফোরন ঘটিয়ে আমাকে হকিষ্টিক দিয়ে মারতে থাকে। এসময় আমার মাথায় আঘাত করে। মাথার আঘাত ঠেকাতে গিয়ে আমার বাম হাত ভেঙ্গে যায়।
সরেজমিনে ঘটনাস্হলে গিয়ে দেখা যায়, পেট্রোলবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণে বাড়িতে আগুন ধরেছে। এছাড়াও কয়েকটি অবিস্ফোরিত ককটেল দেখা গিয়েছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অবিস্ফোরিত ককটেল নিস্ক্রিয় করে।
এদিকে যুবদল নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনায় মোকামতলা-জয়পুরহাট সড়কের আমতলীতে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী। এসময় নেতাকর্মীদের শান্ত করতে ঘটনাস্হলে ছুটে আসেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম।
পরবর্তীতে শিবগঞ্জ সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ ঘটনাস্হলে এসে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের নিয়ে নাগরিক ঐক্য নামধারী নেতাকর্মীরা এ হামলায় জড়িত। বিএনপির ঘাঁটি শিবগঞ্জ উপজেলায় কোন আওয়ামী লীগের দোসরদের ঠাঁই হবে না।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন যুবদল নেতা রনির বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি পেট্রোলবোমা, ৩টি অবিস্ফোরিত ও ২টি বিস্ফোরিত ককটেল এবং চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় এখনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।