কী কারণে লাশ হলেন সিদ্দিক আহমেদ (৬২) তা জানার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়নাতদন্ত করা হয়। এ সময় চিকিৎসক তার পাকস্থলীতে ইয়াবার প্যাকেট দেখতে পান। পলিথিনের প্যাকেটে ছিল ৩৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট। যার মধ্যে কয়েকটি গলে যায়।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার ডিবি পুলিশ রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে এক হাজার ইয়াবাসহ সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে ডিবি। বুধবার সিদ্দিককে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তিনি পেটের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা রাত ৮টা ২২ মিনিটে সিদ্দিককে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। রাত ৯টার দিকে সেখানে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তার লাশ বৃহস্পতিবার ময়নতদন্ত করা হয়। এ সময় পলিথিনের প্যাকেটে মোড়ানো ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেন ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. সোহেলী মঞ্জুরি তন্বী। ইয়াবাগুলোর মধ্যে ১৫টি অর্ধগলিত ছিল। এর আগে শাহবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুব্রত দেবনাথ সিদ্দিকের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।
জানা গেছে, অসুস্থ হয়ে গেলে সিদ্দিককে প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পেটের পীড়ায় আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে সিদ্দিককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান মতিঝিল বিভাগের ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. এরশাদ হোসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই এরশাদ সাংবাদিকদের বলেন, ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে সিদ্দিক বলেছিলেন, তার বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফে। সেখান থেকে ইয়াবা নিয়ে তিনি ঢাকায় একজনের কাছে পৌঁছে দিতে এসেছিলেন। তবে সিদ্দিক কার কাছে ইয়াবা দিতে এসেছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সে বিষয়ে মুখ খোলেননি।
সিদ্দিক আহমেদের বাড়ি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হ্নিলা ৬ নম্বর ওয়ার্ড উলু চামারী গ্রামে। এখন পর্যন্ত কেউ তার মরদেহ নিতে আসেনি।