এমভি পারাবত-১২ লঞ্চে এক যাত্রীর মানিব্যাগ চুরি করে ধরা পড়ায় নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেন রিপন সিকদার নামে এক যুবক। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাকে আটক করেন লঞ্চের স্টাফরা। পরে তাকে নৌ-পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে তার নাম-ঠিকানা নিশ্চিত হতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে রিপন সিকদার পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার একটি হত্যা মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রিপন সিকদারকে মির্জাগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে নৌ-পুলিশ। তার কাছ থেকে পুলিশ লেখা একটি ব্যাগ ও কাগজপত্রবিহীন একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
রিপন সিকদার পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সোবহান সিকদারের ছেলে। মির্জাগঞ্জ থানায় ২০১১ সালে দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলার আসামি তিনি।
এমভি পারাবত-১২ লঞ্চের কয়েকজন স্টাফ জানান, ঢাকার সদরঘাট থেকে শুক্রবার রাতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে লঞ্চে ওঠেন রিপন সিকদার। তারা দোতলার ডেকের যাত্রী ছিলেন। রাতে রিপন সিকদার ডেকের আরেক যাত্রী শহিদুল আলমের মানিব্যাগ চুরি করেন। তবে তখন শহিদুল আলম তার মানিব্যাগ চুরির বিষয়টি টের পাননি। ভোরে দেখেন তার মানিব্যাগ চুরি গেছে। বিষয়টি তিনি লঞ্চের স্টাফদের জানান। পরে লঞ্চের সিসিটিভির ফুটেজ চালিয়ে স্টাফরা দেখতে পান রিপন সিকদার মানিব্যাগ চুরি করেছেন। ভোরে বরিশাল নদী বন্দরে লঞ্চ এসে পৌঁছলে রিপন সিকদার স্ত্রীকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করে লঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় রিপন সিকদারকে আটক করেন লঞ্চ স্টাফরা। তবে রিপন সিকদার মানিব্যাগ চুরির কথা অস্বীকার করে নিজেকে পুলিশ সদস্য বলে পরিচয় দেন। পরে তাকে বরিশাল নৌ-পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বরিশাল সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাত জামান জানান, আটকের পর রিপন সিকদার নিজেকে পুলিশ সদস্য বলে পরিচয় দেন। পাশাপাশি তার বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বলে জানান। তার কথায় সন্দেহ হলে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা নথিপত্র ঘেঁটে জানান রিপন সিকদার মির্জাগঞ্জ থানার একটি হত্যা মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এরপর রিপনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে লঞ্চে মানিব্যাগ চুরির কথা ও তার বিরুদ্ধে মামলার কথা স্বীকার করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে রিপনকে মির্জাগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়।