লক্ষ্মীপুরে নেশার টাকার না পেয়ে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধ মা-বাবা, বোনকে মারধর করতেন বনি ইয়ামিন সোহাগ (৩০) নামের এক মাদকাসক্ত যুবক। এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ জুন) তাকে জেলা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতার সোহাগ সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক অজি উল্যার ছেলে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ জুন) মাদকাসক্ত ছেলের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে বাবা বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে অনার্স পাস করা সোহাগ কয়েক বছর আগে মাদকসেবন শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি এতে আসক্ত হয়ে পড়েন। কয়েক মাস ধরে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কারণে-অকারণে মারমুখী ও অসংলগ্ন আচরণ করে আসছেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশোধনের জন্য তাকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখানে থেকে এসেও তিনি নেশার টাকার জন্য পরিবারকে চাপ দিতে থাকেন।
এরপর গত ২৪ মে সকালে সোহাগ তার বাবার কাছে নেশার করার টাকা চায়। টাকা না পেয়ে বাবা অজি উল্লাহ (৮৫) ও মা জাহানারা বেগম রহিমাকে (৬৫) মারধর করেন। এসময় বাধা দিতে গেলে ছোট বোন নাছরিন সুলতানাকে (২৮) ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে জখম করেন তিনি। এরপর তিনি বসতঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আলমারি থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী বাবা অজি উল্লাহ বলেন, ‘সুখেই জীবন কাটছিল। মেধাবী ছেলেটা মাদকাসক্ত হওয়ার পর থেকে সংসারে অশান্তির শেষ নেই। কিছু হলেই সে আমাদের গায়ে হাত তোলে। বাবা হিসেবে এ লজ্জা কোথায় রাখবো? এজন্য বাধ্য হয়েই আমি মামলা করেছি।’
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, ‘মাদকাসক্ত ছেলেকে নিয়ে পরিবারটি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মামলা করার পর ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি নেশা করার কথা স্বীকার করেছেন। মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’