লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও মেয়ে স্কুলছাত্রী সাদিয়া আক্তারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এতে মরিয়মের ডান হাতের কবজি, বাম হাতের চারটি আঙুল বিচ্ছিন্ন ও মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়। ধারাল অস্ত্রের কোপে সাদিয়ার মাথা ও ঘাড়ে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। শনিবার (৩ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বালাইশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে রাতেই লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে কি কারণে, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে আহত মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, বালাইশপুর গ্রামের দেওয়ান বাড়ির নবী উল্যা সৌদিতে রয়েছেন। স্কুলপড়ুয়া মেয়ে সাদিয়াকে নিয়ে তার স্ত্রী মরিয়ম বাড়িতে থাকেন। সাদিয়া স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
ঘটনার সময় ঘরে ঢুকে সন্ত্রাসীরা মা-মেয়েকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে মায়ের ডান হাতের কবজি ও বাম হাতের চারটি আঙুল বিচ্ছিন্ন ও মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। ধারাল অস্ত্রের কোপে মেয়ের মাথা ও ঘাড়ে রক্তাক্ত জখম হয়। একপর্যায়ে তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
স্থানীয় আমানত উল্যা জানান, ঘরে ঢুকে রক্তাক্ত অবস্থায় মা-মেয়েকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় পাশের বাড়ির জাহিদ তাদেরকে কুপিয়েছে বলেই মরিয়ম অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আসিফ মাহমুদ বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মা মেয়েকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের অঙ্গহানিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, কে বা কারা, কি কারণে ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযান চলছে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন