লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এক বিধবা (৩৮) নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে ওই নারীর হাত-পা-মুখ-চোখ বেঁধে ঘরের পেছনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। সোমবার (৫ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত নারী বাদী হয়ে রামগতি থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করে। পরে দুপুরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রাম থেকে সোহেল ও জামাল নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার সোহেল চরপোড়াগাছা গ্রামের আবু আহম্মদের ছেলে ও জামাল একই এলাকার সৈয়দ আহম্মদের ছেলে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, বিধবা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। বাকি তিন আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত।
স্থানীয় সূত্র ও ক্ষতিগ্রস্ত নারীর পরিবার সূত্র জানায়, স্বামী মারা যাওয়ার পরে ওই নারী একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন। বাড়িতে ওই নারী একাই বসবাস করেন। এ সুযোগে আসামিরা তাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সম্প্রতি এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বিধবা নারীর বাগবিতণ্ডা হয়। তখন বিধবাকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখনও তার হাত ও পায়ে প্লাস্টার (ব্যান্ডেজ) রয়েছে। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শনিবার (৩ অক্টোবর) রাতে দরজা ভেঙে আসামিরা ঘরে ঢোকে। পরে পালাক্রমে তারা ওই নারীকে ধর্ষণ করে।
একপর্যায়ে রশি দিয়ে হাত-পা ও গাম টেপ দিয়ে মুখ-চোখ বেঁধে ঘরের পেছলে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। ওই নারীর স্পর্শকাতর স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে বলে স্বজনরা জানিয়েছে। রবিবার (৪ অক্টোবর) সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে হাত-পা-মুখ-চোখ বাঁধা অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
থানা পুলিশ জানায়, আসামিরা গত কয়েকদিন আগে ওই নারীকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত নারী আদালতে মামলা দায়ের করেন। এর জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে ঘরে ঢুকে সংঘবদ্ধভাবে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত নারী বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন