শনিবার (২২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের বীরগাঁ পূর্বপাড়া এলাকায় হাজী বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নিলক্ষা ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার জহির উদ্দিন।
নিহত জুলহাসের মামা আল আমিন জানান, স্থানীয় একটি স্কুল মাঠে নিলক্ষা দড়িগাঁ এলাকার জালাল মিয়ার গ্রুপের লোকেরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তাতে বাধা দেন জুলহাস ও তার লোকজন। এরই জেরে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় দিকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় তারা। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন জুলহাসসহ ৭ জন। পরে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জুলহাসকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ৬ জনের মধ্যে গুরুতর দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক পলাশ মোল্লা জানান, গুলিবিদ্ধ জুলহাস নামে একজন রোগীকে সন্ধ্যা ৭টায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। হাসপাতালে আসার আগে তার মৃত্যু হয়। নিহতের শরীরে একাধিক গুলির আঘাত আছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিলক্ষা ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার জহির উদ্দিন জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ও পিবিআইয়ের সদস্য গেছেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) সত্যজিৎ কুমার ঘোষ ও রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও দুজনের কেউ তা ধরেননি। তাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।