সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে এক সদস্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে জাল টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমেও চলছে লেনদেনের অভিযোগ ফেসবুকে প্রচারও করা হয়েছে। তবে গণমাধ্যমের সামনে মুখ খুলছেন না কেউ।
ভোট আদায়ের কৌশল হিসেবে আগের রাতে ভোটারদের জাল টাকার বান্ডিল দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী প্রার্থী সুমন সরকারের বিরুদ্ধে।
সুমন সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বী ফিরোজ উদ্দিন খান মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, ‘শুধু জাল টাকাই বিতরণ করা হয়নি, ধর্মগ্রন্থ ছুঁইয়েও ভোটারদের শপথ করানো হয়েছে। দেখানো হয়েছে ভয়ভীতি। তাই আতঙ্কিত ভোটাররা সঠিক প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেননি। ’
রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার এর আগেও জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন। এবার বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে হেরে গিয়ে প্রতিপক্ষরা নানা মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। আমি কোনো ভোটারকে জাল টাকা দিইনি বা শপথ করাইনি। ’
শুধু রায়গঞ্জের নির্বাচন নিয়েই এমন অভিযোগ নয়। টাকা লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে জেলার অন্য উপজেলাতেও। এ প্রসঙ্গে (২ নম্বর ওয়ার্ড) সিরাজগঞ্জ সদরের পরাজিত প্রার্থী পৌর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক খালেদ মোশারফ শাওন বলেন, ‘আমি সৎ শ্রমিকবান্ধব মানুষ। অবৈধভাবে ভোট কেনার সার্মথ্য আমার নেই। যদি অন্যদের মতো অঢেল টাকা খরচ করে অবৈধভাবে ভোট কিনতে পারতাম, তাহলে হয়তো জিততেও পারতাম। জামানত বাতিল হতো না। ’
একই ওয়ার্ডের পরাজিত আরেক প্রার্থী গোলাম আজম তালুকদার বাবলু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ভোটারদের টাকা-পয়সা দেওয়া হয়েছে, তাদের ওপরে প্রভাব খাটানো হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে শহরের কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন দেড় ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছিল। এসব কারণে ভোটের ফল পাল্টে গেছে। ’
এই ওয়ার্ডে যুবলীগ নেতা একরামুল হক টিউবওয়েল প্রতিকে ৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার শহিদুল ইসলাম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘নির্বাচনে টাকা বিতরণের বিষয়ে কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। ’
ইভিএম মেশিন বন্ধের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সিসি ক্যামেরার আওতায় কেন্দ্র পরিচালিত হয়েছে। কেউ মিথ্যা অভিযোগ করলে তো হবে না। আমাদের কাছে সব কিছুর ডকুমেন্ট আছে। ’