রাজধানীর উত্তরায় বন্ধুদের হাতে এক বন্ধু শাকিল হোসেন (২৪) নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সাগর (২৩) নামে আরেক বন্ধু। রবিবার (৯ মে) রাতে ঘটনাটি ঘটে। আহত দুজনের মধ্যে গুরুতর আহত শাকিল হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে দশটায় মৃত ঘোষণা করেন।
আহত সাগর স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো: বাচ্চু মিয়া। দক্ষিণখান থানার ফায়দাবাদ এলাকার তাইজুল ইসলামের ছেলে মো শাকিল হোসেন। পরিবারের সাথে থাকতো। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল দ্বিতীয়।
নিহতের বন্ধু জুবায়ের জানিয়েছেন, শনিবার কোন এক বিষয় নিয়ে স্থানীয় ভুঁইয়া সাব্বির নামে তার এক বন্ধুর সাথে মনোমালিন্য হয়। রবিবার সাব্বিরের ইফতার পার্টিতে নিমন্ত্রণ করেছিল। শাকিল সেখানে যেতে পারেনি। রাতে চটপটি ও ফুসকা খাওয়ার জন্য তাকে ও তার প্রেমিকাকে দাওয়াত করে। শাকিল একই এলাকার তার প্রেমিকারসহ বন্ধু সাগরের মোটরসাইকেল যোগে আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ আইসি হাসপাতালের পাশে যান। সেখানে সাব্বির তাদের রিসিভ করেন। এবং শাকিল কে বলে, তোদের দু’জন কে আসতে বলেছিলাম। পরে প্রেমিকা ও সাগরকে সেখানে বসিয়ে রেখে কথা আছে বলে শাকিলকে নিয়ে আলাদা করে দূরে নিয়ে যায়। সেখানে সাব্বির, শামীম, সিকদার, মৃদুল সহ আরো কয়েকজন তাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে।
তার চিৎকার শুনে বন্ধু সাগর এগিয়ে গেলে তাকে আহত করে তারা পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতাল নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শাকিলকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহতের স্বজনরা জরুরী বিভাগ থেকে জোরপূর্বক লাশ নিয়ে চলে যান।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো: বাচ্চু মিয়া বলেন বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিহিত করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠাবে।
নিহতের ভাই শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, তার ভাই শাকিল নেটের কাজ করতো, বিভিন্ন প্রোগ্রামের ড্যান্সার ছিল। তিনি বলেন সাব্বির নামে তাদের এক বন্ধু তাকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। আমরা তার বিচার চাই।