English

28 C
Dhaka
মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
- Advertisement -

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, পুলিশ পরিদর্শক গ্রেপ্তার

- Advertisements -

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর ও নির্যাতনের অপরাধে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামসুদ্দোহা (৪০) ।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার রাজাবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানা পুলিশ। শামসুদ্দোহাকে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় আনা হয়েছে।

পুলিশ পরিদর্শক মো. শামসুদ্দোহা গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের নুরুদ্দিন আহম্মেদের পুত্র। বর্তমানে তিনি ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার বিকান লেকসিটির কনকর্ড টাওয়ারে বসবাস করতেন।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল জানান, পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহা চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত। তার স্ত্রী ফারজানা খন্দকার তুলির দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় তাকে ঢাকার রাজাবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

তিনি আরো জানান, বাদীর লোকজন গুলশান থানার সহযোগীতায় শামসুদ্দোহাকে আটক করে। পরে সংবাদ পেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের গুলশান থানা থেকে ফরিদপুরে নিয়ে আসেন।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরো জানান, পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহার স্ত্রী ফারজানা খন্দকার তুলি বাদী হয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি কোতয়ালী থানায় তার বিরুদ্ধে যৌতুক দাবী, মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী ফারজানা খন্দকার তুলি বলেন, গত ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট পারিবারিকভাবে শামসুদ্দোহার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের পর ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত আমি ফরিদপুরে আমার বাবার বাড়িতেই অবস্থান করি। পরবর্তীতে ওই বছরের নভেম্বর মাসে তার চাকরির কারণে যশোরে নিয়ে যায় আমাকে। সেখানে ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করি। এর কয়েকদিন পর থেকেই তার আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করি।

তিনি বলেন, ওই সময় জানতে পারি অন্য একটি মেয়ের সাথে পরকীয়ায় জড়িত সে। আমি বাধা দিলে ওই সময় থেকেই আমার উপর নির্যাতন শুরু হয়। বিভিন্ন সময় আমাকে মারপিট করতো শামসুদ্দোহা।

তুলি বলেন, এর কিছুদিন পর আমাকে তার প্রমোশনের জন্য ৭০ লাখ টাকা বাবার কাছ থেকে এনে দিতে বলে। আমি ওই সময় ১৫ লাখ টাকা এনে দিই, কিন্তু সে তাতে খুশি হয়নি। এরপর আরো নির্যাতন বাড়তে থাকে। প্রতিদিন নেশা করে এসে আমাকে মারপিট করতো। ওই সময় আমি সেখান থেকে বাবার বাড়ি চলে আসি। তখন আমি ৩ মাসের অন্তঃস্বত্তা। বাবার বাড়িতেই আমি পুত্র সন্তানের মা হই। সন্তানের বয়স এখন দুই বছর। সন্তানের মুখ পর্যন্ত এখনও দেখেনি সে।

তিনি আরো বলেন, বাবার বাড়িতে আসার পর সে আমাকে ফোন দিয়ে বলে টাকা নিয়ে আসতে পারলে আসো, তা না হলে আসার দরকার নেই। নিরুপায় হয়ে আমি থানায় মামলা দায়ের করি।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বিপিএম জানান, স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহাকে বিকালে আদালতে হাজির করা হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন