কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে রুবেল (২১) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর গোলাই মোড়ের কাছে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকজন ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে গেছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী মারজিয়া খাতুন ও শাশুড়ি মর্জিনা খাতুনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
নিহত রুবেল জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ঘোড়ার গাড়িচালক ছিলেন।
নিহতের মা পপি খাতুন জানান, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেলে দেড় বছর আগে শিলাইদহ ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের মেজবার শেখের মেয়ের সঙ্গে রুবেলের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। দ্বিতীয় স্ত্রী সন্তানসম্ভবা অবস্থায় বাবার বাড়িতে যান এবং রোববার (৮ অক্টোবর) একটি মৃত কন্যাসন্তান প্রসব করেন।
ওইদিন সন্ধ্যায় দ্বিতীয় স্ত্রীর মেজো ভাই মিঠু শেখ রুবেলকে ফোনে স্ত্রীর অসুস্থতার কথা জানিয়ে ডেকে নিয়ে যান। সোমবার ভোরে রুবেলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ছেলেকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন পপি খাতুন।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকে রুবেলের স্ত্রীর পরিবারের লোকজন সবাই পলাতক। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, মরদেহে একাধিক স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রুবেলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।