রাজবাড়ীতে আলোচিত ভাড়ায় চালানো মোটরসাইকেল চালক মঞ্জু শেখ হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অপর এক আসামিকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
আজ বুধবার বিকেলে রাজবাড়ীর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, গোয়ালন্দ উপজেলার সোহরাব মন্ডলের পাড়া এলাকার সুলতান মৃধার ছেলে শাহাদাৎ মৃধা ওরফে লাভলু, বিল্লাল মোল্লার ছেলে মো. মনোয়ার হোসেন ওরফে মনু, মো. বাতেন সরদারের ছেলে মো. রিপন সরদার ও আক্কাছ শেখের ছেলে মো. কোবাদ শেখ।
তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলো, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের মো. ফিরোজ বেপারীর ছেলে রুবেল বেপারী। রায় প্রদানের সময় শাহাদাৎ মৃধা বাদে অন্য চারজন আদালতে হাজির ছিলেন।
আদালতের রায় প্রদানের পর আসামিদের কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রত্যকের মুখেই ছিলো অট্টহাসি। এ সময় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মনু তার স্বজনদের হাসতে হাসতে বলছিলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যে বের হয়ে আসবো-নো-টেনশন।’
মামলা ও আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর দুপুরে মোটরসাইকেল চালক মঞ্জু শেখকে ফোনে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যার পর চরদৌলতদিয়া আইনউদ্দিন বেপারী পাড়া এলাকায় খালের মধ্যে মরদেহ ফেলে রাখে।
পরদিন সকাল ৯টার সময় স্থানীয়রা দেখে খবর দিলে পুলিশের সহযোগিতায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় মরদেহের মাথায়, পিঠে, পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন দেখা যায়।
এ ঘটনায় ২৭ অক্টোবর নিহতের পিতা বাবুল শেখ বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহতের বাবা বাবলু শেখ বলেন, ‘আমি ছেলে হারিয়েছি। একজন আসামির ফাঁসি হলেও আমি খুশি হতে পারতাম। আসামী যেভাবে হেসে হেসে আমার সামনে দিয়ে চলে গেল, এতে আমি আরো আতঙ্কিত হয়ে পরছি। ’
রাজবাড়ীর জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর পিপি এ্যাডভোকেট উজির আলী শেখ বলেন, ‘আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ঘটনার সাথে জরিত থাকার প্রমান পেয়ে এ মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনের ৩ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছে।
বিচার প্রার্থী ন্যায় বিচার পেয়েছে। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি।’