সোমবার সন্ধ্যায় শহরের আশ্রম মোড় এলাকায় নিজ বাড়ির বিছানা থেকে রোশনির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি অবসরপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মৃত মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী। ধারালো অস্ত্রে গলা কেটে হত্যার পর দুর্বৃত্তরা মরদেহ খাটের মধ্যে লুকিয়ে রাখে।
রোশনির মা সাবিনা বেগমের বাড়ি উপশহর ডি-ব্লকে। তিনি জানান, তার ছয় মেয়ের মধ্যে রোশনি সবার বড়। তার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি মারা যান। তাদের এক ছেলে রাতুল ও এক মেয়ে মুনিয়া। পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহণের জন্য ছেলে রাতুল তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। মেয়ে মুনিয়া ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়েন। বাড়িতে রোশনি একাই থাকতেন।
তিনি বলেন, প্রতিদিন তার সঙ্গে দেখা এবং মোবাইলে আলাপ হতো রোশনির। সোমবার সকালেও কথা হয়েছে। কিন্তু দুপুরের পর থেকে ফোন বন্ধ পান। বিকেলে বাসার গিয়ে ভেতর থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ তালা ভেঙে ঘরে বক্স খাটের নিচে মরদেহ দেখতে পায়।
তিনি জানান, ঘরের মালপত্র তছনছ অবস্থায় ছিল। সাবিনা বেগমের ধারণা, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করতে পরিচিত কেউ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
হত্যার শিকার রোশনির ভাশুরের ছেলে মাসুদ আহম্মেদ মিলন জানান, বাড়িতে তার চাচি একাই থাকতেন। আশ্রম মোড়ে সাইকেল গ্যারেজের মালিক শফিকুল ইসলাম শফি নামে একজন তাকে বাজার করে দিতেন। এ কারণে শফি মাঝেমধ্যে বাড়িতে যাতায়াত করতেন।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, মরদেহ খাটের নিচে লুকানো অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে হত্যাকারীরা। কারা এবং কেন তাকে হত্যা করেছে, তা জানা যায়নি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মামলা হয়নি। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের কারণ ও জড়িতদের চিহ্নিত করতে তদন্ত করছে।