যশোরে গাঁজাসহ আটক পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামানকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আটক অপর দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) যশোরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীর এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত এসআই হাসানুজ্জামান সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সিংগা গ্রামের মৃত মোজাম্মেলের ছেলে। তিনি চৌগাছা থানায় কর্মরত ছিলেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- কেশবপুর উপজেলার চাঁদড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নাজমুল ইসলাম ও মণিরামপুরের পারখাজুরা গ্রামের মশিয়ার রহমান মশির ছেলে শহিদ।
আদালতের সরকারি কৌঁসলি অ্যাড. আফরোজা সুলতানা রনি জানান, হাসানুজ্জামান চৌগাছা থানায় কর্মরত ছিলেন। ২০২০ সালের ১৫ জুন দুপুর ১২টার দিকে কেশবপুর এলাকা থেকে তিন কেজি গাঁজা কিনে চৌগাছায় যাত্রা করেন। এর মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভালুকঘর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই দিবাকর মালাকার জানতে পারেন নাজমুল ও শহিদ নামে দুজন গাঁজা ক্রয়-বিক্রয় করছেন।
এসময় এসআই হাসানুজ্জামান ও নামজুলকে আটক করে মামলা দেওয়া হয়। কিন্তু সেখান শহিদ পালিয়ে যান। এসময় হাসানুজ্জামান নিজেকে পুলিশের এসআই বলে পরিচয় দেন এবং তার কোমরে থাকা পিস্তল বের করে দেখান। এ ঘটনার মামলায় আটক নাজমুল আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে এসআই হাসানুজ্জামানকে সাতদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডেও কাছে গাঁজা থাকার কথাটি স্বীকার করেন তিনি।
মামলাটি তদন্ত পূর্বক কেশবপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক শেখ ওহিদুজ্জামান ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রোববার দারোগা হাসানুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।