English

21 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
- Advertisement -

মোবাইল ফোনের জন্য শিশুর হাতে শিশু খুন!

- Advertisements -
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে শিশুর হাতে আরেক শিশু খুন হয়েছে। বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজের তিনদিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে মো. রনি মিয়া নামে ছয় বছরের ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
Advertisements

মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতে শিশু রনিকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তবে কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি রনির কাছ থেকে খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনও।

এ ঘটনায় ঘাতক শিশু ও অভিযুক্ত আরেক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা দুইজন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। তাদের দেওয়া তথ্য মতেই পুকুরে ভাসমান অবস্থায় শিশু রনির লাশ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

হত্যাকান্ডের শিকার শিশু রনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে। সে কুলিকুন্ডা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পাশের গ্রাম দাঁতমন্ডলে ওরসে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, কুলিকুন্ডা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে রিফাত মিয়া (১৩) ও আবুল হোসেনের ছেলে লিটন (১৭)। গ্রেপ্তার হওয়া দুইজনই পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রনির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রনি ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাত নাগাদ বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তার সন্ধানে ওরসে মাইকিং করেন। স্বজনদের বাড়িতেও খোঁজাখুজি করা হয়। এরপরও রনির সন্ধান না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে নাসিরনগর থানায় বুধবার একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়।

এরই মধ্যে বলাবলি হতে থাকে ২৮ ফেব্রুয়ারি রিফাত নামে আরেক শিশুর সঙ্গে রনিকে দেখা গেছে। রনির পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। পুলিশ রিফাত ও লিটনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে রনিদের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, শিশু রনিকে রিফাতের সঙ্গে দেখা যায় বলে অনেকে জানান। এরই সূত্র ধরে রিফাতকে গ্রেপ্তারের পর হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে সে। রিফাত ও লিটনের দেওয়া তথ্যে রনির লাশ উদ্ধার করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, রনির কাছে থাকা স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নিতেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে যে ফোনের কথা বলা হচ্ছে সেটি এখনো পাওয়া যায়নি।

হত্যার পর রনিকে পানিতে ফেলা হয় নাকি হত্যার উদ্দেশ্যে পানিতে ফেলা হয় সে বিষয়ে জানার চেষ্টা চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে সে অনুযায়ি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন