লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরমন্ডল গ্রামে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কারসহ লুণ্ঠিত মালামাল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সোমবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজ্জামান আশরাফ নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে বিকেলে তিনি ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভূক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে লুটে নেওয়া মোবাইলের লক খুলতে বাজারে গিয়ে প্রথমে এক ডাকাত ধরা পড়ে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে অন্যদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে চরমন্ডল গ্রামের রানিরহাট এলাকায় গেট ভেঙে ডাকাতরা ব্যবসায়ী আবদুল কাদের পাটওয়ারীর ভবনে ঢোকে। একপর্যায়ে তারা অস্ত্রের মুখে সবার মুখ বেঁধে পাঁচ ভরি স্বর্ণ ও টাকা, মোবাইল ফোন লুটে নিয়ে যায়। ৯৯৯-এ ফোন করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ।
সোমবার সকালে ফের চরমন্ডল এলাকায় কাওসারুজ্জামান অভিযানে যায়। এ সময় একটি দোকানে মিয়াদ হোসেন রাব্বি নামের একজন একটি মোবাইলের লক খোলার চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি দেখে পুলিশ কর্মকর্তার সন্দেহ হয়।
পরে মোবাইলটি হাতে নিয়ে ভূক্তভোগী আবদুল কাদেরকে কল দিয়ে পাসওয়ার্ড নেন তিনি। পাসওয়ার্ড দিতেই মোবাইলের লক খুলে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে মোবাইলটি কুড়িয়ে পেয়েছেন বলে জানান রাব্বি। পরে পুলিশকে ডাকাতির কথা স্বীকার করেন তিনি।
এসআই কাউসারুজ্জামান জানায়, রাব্বির তথ্যের ভিত্তিতেই আজাদ ডাকাত ওরফে চশমা আজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আটক দুজনের তথ্যমতে মো. টুটুল ও আলম হোসেন প্রকাশ খোরশেদকে আটক করা হয়। এর মধ্যে খোরশেদ রায়পুরের কেরোয়া ইউনিয়নে ডাকাতির ঘটনায়ও জড়িত রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, ডাকাতির সঙ্গে সাতজন জড়িত ছিল। চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভূক্তভোগী বাদী হয়ে ডাকাতির ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তার আজাদ খুনসহ একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পলাশ কান্তি নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মংনেথোয়াই মারমা, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল, ডিআইওয়ান একেএম আজিজুর রহমান মিয়া উপস্থিত ছিলেন।