প্রেমিকা ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ডেকে বন্ধুদের নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও করে রাখেন অভিযুক্তরা। পরে ধর্ষণের শিকার তরুণীর মায়ের কাছে ফোন দিয়ে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করেন তারা। পরে তরুণীর মা বাদী হয়ে থানায় মমলা করলে পুলিশ প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে গত ২৮ মার্চ এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গতকাল রবিবার ওই তরুণীর মাকে ফোন দিলে তিনি শাহরাস্তি থানায় মামলা করেন। মামলার এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- প্রধান আসামি মেহেদী হাসান ও তার সহযোগী আবু সালেহ। এদের মধ্যে মেহেদীর বাড়ি শাহরাস্তির রঘুরামপুর এবং আবু সালেহর বাড়ি যাদবপুর গ্রামে।
সোমবার দুপুরে চাঁদপুরে প্রেস ব্রিফিং করে এ সব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ। তিনি বলেন, মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ছাড়া পলাতক অন্য আসাসিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার শিকার তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে।
তিনি আরো বলেন, রবিবার সকালে তরুণীর মায়ের কাছে ফোনে একটি কল আসে। তাকে বলা হয়, আপনার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সেই ছবি আছে আমাদের কাছে। এ সময় তারা ৫ হাজার টাকা দাবি করে। এতে আঁতকে উঠেন ওই তরুণীর মা। পরে শাহরাস্তি থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় জানান, মামলা দায়ের মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান আসামিসহ দুজনকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।