বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করায় পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা করে মা-বাবা ও ছোট বোন। এমন লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার হোসেন্দি ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামে। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রইছ উদ্দিন। ওসি রইছ উদ্দিন জানান, এর আগে শুক্রবার নিখোঁজের ১৮ দিন পর ওই এলাকায় বাড়ির পাশের ডোবা থেকে হাসান (১৮) নামে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তবে মাত্র এক দিনের মাথায় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছেলেটির মা-বাবা ও বোন তাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তিনি আরো জানান, বাড়ির এত কাছে লাশ পাওয়ায় এবং হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্বজনদের অসংলগ্ন বক্তব্যে প্রথম থেকে সন্দেহ হতে থাকে তাদের। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল চারজনকে আটক করা হয়।
রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে ছেলেটির মা-বাবা ও বোন তাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, মাদকাসক্ত হাসান গত ২১ ডিসেম্বর রাতে তার আপন ছোট বোন শিলাকে (১৫) বাথরুমে যাওয়ার পথে জড়িয়ে ধরেন। এ সময় হাসান তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে তার আত্মচিৎকারে মা-বাবা ছুটে আসেন।
এ সময়ে রাগের মাথায় হাসানের মা হাসিনা বেগম তাকে ঘরে নিয়ে মুখে বালিশ চেপে ধরেন আর বাবা শামীম মিয়া তার হাত-পা ধরে রাখেন এবং ছোট বোন শিলা ছুরি দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। আসামিদের দেয়া তথ্যমতে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও গামছা উদ্ধার করেছে।
মুন্সীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশফাকুজ্জামান জানান, নিহতের স্বজনরা প্রতিপক্ষ একজনের ওপর দায় চাপাতে চেয়েছিল। তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বারবার পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে তবে তাদের কথায় বিভ্রান্ত হয়নি পুলিশ। সঠিক তদন্ত শেষে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত করেছেন তারা। আটককৃতদের রোববার কোর্টে পাঠানো হয়।