মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে এক নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে উপজেলার শিবচর ইউনিয়নের চরশ্যামাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারীর নাম আয়শা বেগম (৩০)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ, নিহত নারীর পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আয়শা বেগম বরিশালের আবদুল মান্নানের মেয়ে। তাঁর স্বামী আবদুল রাজ্জাক তালুকদার ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চালক। প্রায় ১০ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। দুই সন্তান নিয়ে তাঁরা শিবচরের চরশ্যামাইল গ্রামে থাকতেন। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হতো। গতকাল সোমবার ইফতারের পর আয়শার মুঠোফোনে একটি কল আসাকে কেন্দ্র করে রাজ্জাকের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে রাজ্জাক ধারালো ছুরি দিয়ে স্ত্রীর পেটে ও নাকেমুখে আঘাত করেন। আয়শার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দ্রুত পালিয়ে যান রাজ্জাক। এরপর আয়শার শ্বশুর ও প্রতিবেশীরা আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক আয়শাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, রোগীকে হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো ছুরির আঘাতে ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আয়শার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মুখে ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের দুটি আঘাত আছে।
আয়শার শ্বশুর আবদুল খালেক তালুকদার বলেন, ‘আমার ছেলেই তাঁর স্ত্রীকে মেরেছে। ছেলে কেন এমন করল, তা আমি বলতে পারব না।’
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিরাজ হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ থেকে এ হত্যাকাণ্ড। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।