মিথ্যা সাহায্যের আবেদনের নামে প্রতারণার অভিযোগে রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান ওরফে আকাশ, তানভীর আহাম্মেদ, হাফিজুল ইসলাম ও রেজাউল ইসলাম। এদের মধ্যে তানভীরের তিন দিন, অপর তিন আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এরআগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের ইন্টারনেট রেফারেলের উপ-পুলিশ পরিদর্শক আজহারুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধীতা করা হয়।উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের রিমান্ডের আদেশ দেন।
জানা যায়, বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) নিয়মিত দুস্থ ও আর্ত মানবতার সেবায় কাজ করে আসছে। বর্তমান পুনাক সভানেত্রী দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে সারা দেশে সমাজসেবার কাজ জোরদার করা হয়, যা গণমাধ্যমে প্রচারের পর ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।
সম্প্রতি এক শিশুর জন্য চেয়ে করা পোস্ট তার নজরে এলে তিনি সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করেন। কিন্তু সাহায্যপ্রত্যাশী তাকে বিভিন্নভাবে ঘোরাতে থাকে।
বিষয়টি সন্দেহজনক উল্লেখ করে তিনি সিটিটিসি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগকে অনুসন্ধানের অনুরোধ জানান।
অনুসন্ধানে সিটিটিসি জানতে পারে, একদল প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেট থেকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অসুস্থ ব্যক্তিদের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে ফেক আইডি থেকে অজ্ঞাত অসুস্থ একটি শিশুর ছবি যুক্ত করে, ফেসবুক গ্রুপসহ প্রায় ২৭টি আইডি থেকে আরও বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে মিথ্যা সাহায্যের আবেদন করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
পরে তাদের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।