হেফাজত নেতা আল্লামা মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জিহাদের আহ্বান করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলা থেকে শাহীন বিপ্লব (২১) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাতে উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের বড়রিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ওইদিন সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থানায় শাহীনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে।
গ্রেপ্তার শাহীন বড়রিয়া গ্রামের শাহজাহান সর্দারের ছেলে। তিনি ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ছাত্র ও ছাত্রদলের একজন কর্মী বলে জানা গেছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের বিরোধিতা করে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে স্ট্যাটাস দেন।
স্ট্যাটাসে শাহীন তার ভাষায় বলেন— “আল্লামা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করো নাই, হৃদয়ে আঘাত করেছো। আর ছাড় দেওয়া হবে না, এতো বড় দুঃসাহস তোমাদের কে দিয়েছে? এখন শুধু একটি জিহাদের ঘোষণার অপেক্ষায় আছি।
ইনশাল্লাহ সেই যুদ্ধে শামিল হবো। ইসলামের জন্য যদি শহীদ হই আলহামদুলিল্লাহ। আমি আমার জাতীয়তাবাদী দলসহ বাংলাদেশের সকল ধর্মপ্রাণ সংগঠনের মানুষদেরকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। পেছনে কোনো দল বা ব্যক্তি কি বলল সেটা না ভেবে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদের জন্য প্রস্তুতি নিন, মনে রাখতে হবে মুসলমানদের বিজয়ের সময় এসেছে।”
পুলিশের ভাষ্যমতে, শাহীন বিপ্লব ১৯ এপ্রিল রাত ৯টা ৪৯ মিনিটে ফেসবুকে জিহাদের আহ্বান প্রকাশ ও প্রচার করেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে কয়েক হাজার উচ্ছৃঙ্খল লোকজন জমায়েত হয়। পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে মিথ্যাচার করেছেন শাহীন। এজন্য তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) তারক বিশ্বাস গণমাধ্যমকে জানান, পুলিশের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় শাহীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) তাকে আদালতে পাঠানো হবে।