শেরপুর সদর উপজেলার মোকসেদপুরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশ সোপর্দ করেছে জনতা। এছাড়া জড়িত আরো দুইজন পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন ধরে অজ্ঞাত এক মানসিক ভারসাম্যহীন শেরপুর সদর উপজেলার মোকসেদপুর নন্দীর বাজারে ঘোরাফেরা করছিলো। রোববার রাত ১১টার সময় ওই নারীকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে মোকসেদপুর খোলা মাঠে ধর্ষণে করে স্থানীয় চার বখাটে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে গিয়ে দুজনকে অটক করে পুলিশে দেয়। পালিয়ে যায় আরও দুজন।
পুলিশ জানায়, ওই মানসিক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে চরমুচারিয়া ইউনিয়নের মাছপাড়ার দুলাল মিয়ার ছেলে হকার ফকির, পুরান পাড়ার আলম, নন্দীর পাড়ার জুয়েল ফকির ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের বরাটিয়ার ফেকা মিয়ার ছেলে আচার বিক্রেতা হামেদকে আটক করার চেষ্টা করে স্থানীয়রা। এ সময় ফকির ও হামেদকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে তারা। পালিয়ে যায় আরো দুই বখাটে।
এলাকাবাসী জানান, আমরা এমন জঘন্যতম ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) মো. বন্দে আলী মিয়া জানান, ভিকটিম মানসিক ভারসাম্যহীন। সে কোনো কথাই বলতে পারছে না। এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।