মাদারীপুরে প্রাইভেটকারে করে ছাগল চুরির ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তুহিন দর্জীসহ পাঁচ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক সাইদুর রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক রমেশ চন্দ্র দাশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার পখিরা এলাকা থেকে একটি প্রাইভেটকারে ছাগল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে তুহিন দর্জীসহ তার চার সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের নামে সদর মডেল থানায় ছাগল চুরির অভিযোগ এনে লোকমান মালোত নামে এক কৃষক মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ চার সহযোগী জুবায়ের হাওলাদার, রানা বেপারী, রবিউল ইসলাম ও মাহবুব তালুকদারকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
তুহিন দর্জি শহরের ইটেরপুল এলাকার ও জেলা ইমারত শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সদর ঘটমাঝি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাকির দর্জির ছেলে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার পখিরা এলাকা থেকে নিজস্ব একটি প্রাইভেটকারে স্থানীয় লোকমান মালোতের পালিত একটি ছাগল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল। পরে বিষয়টি স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে ধাওয়া দিলে তারা সেখান থেকে দ্রুত সটকে পরে। কিন্তু টইল পুলিশকে জানালে পুলিশ চুরি হওয়া ছাগল বহন করা প্রাইভেটকারটির গতিরোধ করে এবং ছাত্রলীগ নেতা তুহিন দর্জিসহ তার চার সহযোগীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় চুরির কাজে ব্যবহৃত ওই প্রাইভেটকার জব্দ ও ছাগল উদ্ধার করা হয়।
এ সম্পর্কে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল ইসলাম জানান, ‘ছাত্রলীগ নেতা তুহিনসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ছাগল চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে ৩৭৯/৪১১ ধারায় একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় শুকবার দুপুর ৩টার পরে গ্রেফতার সবাইকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়াও চুরি হওয়া ছাগলটি প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং জব্দ হওয়া প্রাইভেটকারটি পুলিশের হেফাজতে রাখা আছে।’
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, গত দুই মাসে পখিরা এলাকা থেকে আরও ৫টি গৃহপালিত ছাগল খোঁয়া গেছে। তুহিন ও তার সহযোগী এই চুরির সাথে জড়িত রয়েছে বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তুহিন দর্জির ভাই শিহাব আল শাহীন বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সম্মানহানি করার জন্যই ষড়যন্ত্র করে এ কাজ করা হয়েছে। তুহিনকে এমন একটি হাস্যকর মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। আমরা এ ঘটনায় সঠিক তদন্তের দাবি জানাই।’
ছাত্রলীগ নেতার ছাগল চুরির ঘটনাটি ছাত্রলীগ তথা আওয়ামী লীগেরও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলেও মত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা।