মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের মাছকান্দি গ্রামে নাজমা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
সোমবার মাদারীপুর সদর থানায় নিহত নাজমার স্বামী মস্তফা মুন্সিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর নাজমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের মাছকান্দি গ্রামের মস্তফা মুন্সির (৩৫) সাথে দুধখালি গ্রামের নাজমা আক্তারের বছর দশেক আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য সংসারে অশান্তি বিরাজ করছিল।
অশান্তির জের ধরে কয়েক বছর আগে আদালতে মামলাও হয়। পরে সন্তানের কথা চিন্তা করে মামলা তুলে নিয়ে আবার সংসার শুরু করে নাজমা।
এরপরও সংসারে অশান্তি কমেনি। রবিবার নাজমাকে নির্যাতন করে। পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। যৌতুকের কারণেই রবিবার নাজমাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন নিহতের পরিবার।
নিহত নাজমার মা তাহমিনা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মস্তফা ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নুরুল ইসলাম জানান, মরদেহ ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে কিভাবে মারা গেছে।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।