জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সাতনা গ্রামে মুরগীর মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে আব্দুল্লাহ আল লাবিব নামে চার বছর বয়সী দেবরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন ভাবি রিমা আক্তার (১৮)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রীমা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০ মে) পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত লাবিব পাঁচবিবি উপজেলার সাতানা গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানান গেছে, প্রায় ৯ মাস আগে সাতানা গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে মেফতাউল হাসানের সঙ্গে রিমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর রিমার সাথে শ্বশুর-শাশুড়ি প্রায়ই ঝগড়া হতো। সোমবার রাতের খাবার খেয়ে লাবিব তার চাচি খাদিজার সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে সে বাবার কাছ থেকে বিশ টাকা নিয়ে চাচা জামালের দোকান থেকে খাবার কিনে বাড়ি এসে খাচ্ছিল।
কিছুক্ষণ পর শিশুটির বড় ভাই মেছতাউলের স্ত্রী রীমা এসে মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ানোর কথা বলে তাকে ঘরে নিয়ে যায়। পরে জামালের স্ত্রী খাদিজা খাতুন রীমার ঘরে গিয়ে শিশু লাবিবকে কম্বল দিয়ে ডেকে দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। গরমের ভেতর কেন লাবিবকে এমনভাবে ঢেকে রাখা হয়েছে তা রীমার কাছে জানতে চান।
তখন রীমা তাকে বলেন, লাবিব ঘুমিয়ে পড়েছে। এতে খাদিজার সন্দেহ হয়। তখন কম্বল উঠিয়ে লাবিবকে নিস্তেজ অবস্থায় দেখে চিৎকার দেন খাদিজা। তার চিৎকারে বাড়ির অন্য সদস্যারা ছুটে এসে শিশু লাবিবকে উদ্ধার করে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাঁচবিবি মোহাম্মপুর ইউপির চেয়ারম্যান রবিউল আলম পিন্টু রীমা খাতুনের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
ওসি পলাশ চন্দ্র দেব জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে এবং রীমা খাতুনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি (রীমা) হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।