রাজধানীর বারিধারা থেকে মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকে (মৌ আক্তার) আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের আমন্ত্রণ জানিয়ে পরবর্তীতে আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা হতিয়ে নিতো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবি উত্তরের যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর রশীদ জানান, আটক হওয়া পিয়াসা ও মৌ আক্তার একটি সংগবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। বিভিন্ন সময় উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের আমন্ত্রণ জানিয়ে পরবর্তীতে আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করা হতো।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বরিধারা ও মোহাম্মপুরের বাসা থেকে মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে। তাদেরকে আটক করা হয়েছে। সোমবার গুলশান ও মোহাম্মদপুর থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আটক দুই মডেল হচ্ছেন রাতের রানী। তারা দিনের বেলায় ঘুমান এবং রাতে এসব কর্মকাণ্ড করেন। উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে আনতেন তারা।বাসায় আসলে তারা তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি-ভিডিও ধারণ করে রাখতেন। পরবর্তীতে তারা সেসব ভিডিও এবং ছবি ভিক্টিমদের পরিবারকে পাঠাবে বলে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিতেন।
এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ থাকায় আলাদা মামলা হবে। এসব মামলায় আমরা তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করবো।
বিভিন্ন সময় নানা ঘটনায় আলোচনায় আসেন মডেল পিয়াসা। ২০১৭ সালে মে মাসে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে নাম ছিল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার। প্রথমে মামলা করতে ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা করেছিলেন পিয়াসা।
কিন্তু সেই পিয়াসার বিরুদ্ধেই আবার মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির অভিযোগে জিডি করেছিলেন ভুক্তভোগী। এশিয়ান টেলিভিশনের সাবেক পরিচালক এবং প্রিভিউ কমিটির প্রধান ছিলেন ফারিয়া পিয়াসা। দীর্ঘদিনের প্রেমিক ব্যবসায়ী শাফাত আহমেদকে বিয়ে করেন তিনি।
এনটিভির রিয়েলিটি শো ‘সুপার হিরো সুপার হিরোইন’র অন্যতম প্রতিযোগী ছিলেন ফারিয়া পিয়াসা। সর্বশেষ গুলশানের অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের পর যে মামলা হয়েছিল তাতেও পিয়াসার নাম ছিল।