ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিজের মেয়েকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। রবিবার রাতে তাকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের বড়পাল্লা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। আজসোমবার সকালে এ ঘটনায় লম্পট পিতা মোস্তফা মোল্লার(৪৫)নামে ধর্ষণ মামলা হয়েছে।
লম্পট মোস্তফা পার্শ্ববর্তী সদরপুর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের মৃত্যু খালেক মোল্লার ছেলে। সে পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি।
পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ বছর আগে বড়পাল্লা গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এক নারীকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন, প্রথম স্ত্রীর দুটি সন্তান রয়েছে, দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে তার। স্ত্রীর দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ার সুযোগে শিশু অবস্থায় নজর দেয় নিজ মেয়ের প্রতি। মেয়ের বয়স বর্তমানে ১৬ বছর। প্রায় ৩-৪ বছর ধরে মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তখন তারা লম্পট মোস্তফাকে সামাজিকভাবে বুঝানোর অনেক চেষ্টা করে। তারপরেও পষুত্ব আচরণ যায়নি।
বিগত দুই বছর হয় বিষয়টি মেয়ের মা তার ভাইদেরকে(মেয়ের মামাকে) জানায়। তার ভাইয়েরা তখন লম্পট মোস্তফাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। মাঝে মধ্যে হাতে পায়ে ধরে আর করবে না বলে বাড়ি ফিরে আসে। সুযোগ পেলেই আবারও ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। কিছুদিন পর গতকাল রবিবার লম্পট মোস্তফা বাড়ি ফিরে আসলে তাকে আটকিয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
ভাঙ্গা থানা পুলিশ সত্যতা পেয়ে রাতেই ধর্ষক মোস্তফাকে ধরে এনে মামলা নিয়ে আজ কোর্টে প্রেরণ করেন। মামলা বাদী হয়েছেন মেয়ের মামা বাবুল।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফ হোসেন জানান, কয়েক বছর ধরে জন্মদাতা লম্পট পিতা মোস্তফা তার স্ত্রীর অন্ধত্বের সুযোগে আপন মেয়েকে ধর্ষণ করে বলে মেয়ে ও তার পরিবার জানিয়েছে। সত্যতা পাওয়ায় মেয়ের মামা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেছে। মেয়েকে মেডিকেল টেস্টে জন্য ফরিদপুরে এবং ধর্ষক বাবা মোস্তফাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।