এক ইসলামী বক্তার স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করার অভিযোগে চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বামী ও সন্তানদের হত্যার হুমকি দিয়ে ওই নারীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিল এই শ্রমিক নেতা। বুধবার রাতে নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার পুলিশ তাজুলকে গ্রেপ্তার করে। আটক তাজুল ইসলাম (৫০) নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন তৈয়বিয়া হাউজিং সোসাইটি এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই দুদকের একটিসহ দু’টি মামলা চলমান আছে।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী নারী একজন ইসলামী বক্তার স্ত্রী। স্বামী-সন্তান নিয়ে তাজুল ইসলামের গাউছিয়া ভিলায় ভাড়া বাসায় ছিলেন। একই ভবনের তৃতীয় তলায় থাকতেন তাজুল ইসলাম।
স্বামী বেশিরভাগ সময় বাসার বাইরে থাকার সুযোগে তাজুল ভুক্তভোগী নারীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কাজ না হওয়ায় স্বামী-সন্তানকে খুন করার হুমকিও দেন। গত বছরের ৫ই জুন রাত ১২টার দিকে ভুক্তভোগী নারীর ঘরে ঢুকে দুই সন্তানের রুমের দরজা বন্ধ করে দেন। এ সময় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তাজুল।
এরপর থেকে তাজুল ধর্ষণকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। একই বছরের ১০ই ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় স্বামী-সন্তানকে খুনের হুমকি দিয়ে আবারো ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগী নারী তার স্বামীকে ঘটনা খুলে বলেন। এরপর স্বামী ঘটনা সম্পর্কে তাজুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের বাসা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। একই মাসের ২৮শে ডিসেম্বর তারা বাসা ছেড়ে অন্য ভাড়া বাসায় ওঠেন। চলতি বছরের ২রা জুলাই তাজুল আবারো নতুন বাসায় গিয়ে কুপ্রস্তাব দেন। এ সময় ভুক্তভোগী নারী লোকজন ডাকবে বললে তাজুল চলে যান। পরে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে বায়েজিদ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
বায়েজিদ থানার এসআই মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, এক গৃহবধূকে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করার অভিযোগে ওয়াসার তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বামী ও দুই ছেলে বাসায় না থাকার সুযোগে তাজুল প্রায়ই বাসায় এসে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করতো। আটক তাজুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।