ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মারধরে আহত চাচা হাসপাতালে আসার পর ঘুষিতে তার দাঁত ফেলে দিয়েছে ভাতিজারা, এমন অভিযোগ উঠেছে। ঘুষিতে ৬০ বছর বয়সী চাচা মোখলেছুর রহমানের চারটি দাঁত পড়ে গেছে। শুক্রবার রাতের এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের ইব্রাহিম মিয়ার দুই ছেলে প্রবাসফেরত মোখলেছুর রহমান ও মজনু মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
মোখলেছ পরিবার নিয়ে জেলা সদরে বসবাস করেন। শুক্রবার বিকেলে মোখলেছ গ্রামের বাড়িতে যান। এসময় জায়গা নিয়ে বিরোধের জের মজনু মিয়ার ছেলে ওবায়দুল ও ইমু একাধিকবার তাদের চাচা মোখলেছকে মারধর করেন। আহত অবস্থায় তিনি জেলা সদরের বাসায় এলে পরিবারের লোকজন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে এক্স-রে করিয়ে আনতে পরামর্শ দেন। মোখলেছুর রহমান বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্স-রে করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে হাসপাতালে ঢোকার সময় ভাতিজা ওবায়দুল, ইমু ও তাদের আত্মীয় সাহেদ তার ওপর হামলে পড়ে। তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারা হয়। এ সময় ঘুষিতে মোখলেছের চারটা দাঁত পড়ে যায়। হাসপাতালে ঢুকে তিনি আত্মরক্ষা করেন।
আহত মোখলেছুর রহমান বলেন, আমার হার্টে বাইপাস করানো। এছাড়া ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ভাবতে পারিনি ভাতিজারা আমাকে এভাবে মারধর করবে। আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাব্বির হোসাইন বলেন, রাতে একজন বয়স্ক লোক জরুরি বিভাগে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আসেন। তাকে বাইরে থেকে এক্স-রে করিয়ে রিপোর্ট দেখাতে পরামর্শ দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর ওই ব্যক্তি মুখে রক্তাক্ত অবস্থায় ফিরে আসেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাকে মারধর করে দাঁত ফেলা দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।