ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে বুধবার সকালে হওয়া সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় অন্তত সাতজনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
আহতদের মধ্যে হক মিয়া, ফুল মিয়া, জমিলা বেগম, মিন্টু মিয়া, জুরু মিয়া, দুলাল মিয়া, মাইনুল, আলমগীর, জজ মিয়া, আঙ্গুর মিয়া, সোহরাব মিয়া, সিয়াম, রিমা বেগম, মনির মিয়া, জুয়েল মিয়া, রাজিউর রহমান, সূচনা বেগম ও আবদুস সালাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকিরা সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
স্থানীয়রা সূত্র জানায়, জয়ধরকান্দি গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে বোরহান উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে থাকেন। গত কয়েক মাস আগে বোরহান উদ্দিন একই গোষ্ঠীর আল-আমিনকে সৌদি নেওয়ার জন্য তার কাছ থেকে টাকা নেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাকে সেখানে নিতে পারেননি। বুধবার সকালে বোরহানের ভাই নিয়াজের কাছে টাকা ফেরত চায় আল-আমিন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রথমে বাগবিতণ্ডা ও পরে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে বোরহান ও আল-আমিনের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।