ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে রামকৃষ্ণ সাহা নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। রবিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনায় শিশুটির দাদা বাদি হয়ে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছে। মামলা নম্বর ১৩।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরর্দী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া বাজারের মুদি ব্যবসায়ী রামকৃষ্ণ সাহার (৬০) দোকানে ময়েনদিয়া এলাকার একটি মহিলা মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী খাবার কিনতে যায়। এ সময় শিশুটিকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে দোকানের পেছনে নিয়ে যৌন নিপীড়ন চালায় রাম কৃষ্ণ।
পরে শিশুটি মাদ্রাসায় ফিরে বিষয়টি মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা জমির উদ্দিনকে জানায়। তারপর থেকে ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তোড়পাড় শুরু হয়। এ সময় জনরোষ থেকে রামকৃষ্ণ সাহাকে রক্ষা করেন পরমেশ্বরর্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মাতুব্বর ও মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা জমির উদ্দিন। খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানার ডহরনগর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত রামকৃষ্ণকে আটক করে। তবে রামকৃষ্ণের আত্মীয় প্রহলাদ সাহা ঘটনা সঠিক নয় বলে জানান।
পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. মান্নান মাতুব্বর বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাটি শুনে দ্রুত বাজারে গিয়ে অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে উত্তেজিত জনতাকে সান্তনা দিয়ে রাম কৃষ্ণ ও বাজারকে রক্ষা করি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ দেখছে।
সোমবার বোয়ালমারী থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল আলম জানান, বিষয়টি নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় মামলা হয়েছে। সোমবার সকালে আসামিকে ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।