বগুড়ার শিবগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ধর্ষিতা পরিবারের অভিযোগে তাৎক্ষণিক শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। শিবগঞ্জ থানা মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের মেঘাখোর্দ্দ দক্ষিণপাড়া গ্রামের স্কুল পড়ুয়া ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী নানার বাড়ি মোকামতলা ইউনিয়নের সাতআনা চাকলমা গ্রামে। সে নানার বাড়ি থেকেই লেখাপড়া করত।
সাম্প্রতিক স্কুলবন্ধ থাকায় সর্বশেষ মেয়েটি তার বাবার বাড়িতে আসে। এরপর বাবার বাড়ি থেকে সে প্রাইভেট পড়ার জন্য যাতায়াত করে। এরই ধারাবাহিকতায় মেঘাখোর্দ্দ দক্ষিণপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের লম্পট পুত্র ইউসুফ আলী (২৫) এর সাথে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর তাঁকে বিয়ের প্রলোভনে ফুসলিয়ে রাতের আঁধারে বাড়ির পাশে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে একই ভাবে বেশ কয়েক দিন ধর্ষণ করে।
পরে মেয়েটি বিয়ের জন্য ধর্ষক ইউসুফ আলীকে বললে সে বিভিন্ন টাল-বাহানা শুরু করে। একপর্যায়ে মেয়েটি বিষয়গুলো তার পরিবারকে বিস্তারিত বললে, সোমবার ভিকটিমকে সঙ্গে নিয়ে তার বাবা থানায় এসে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলামকে অবগত করেন।
ওসি বিষয়টি শোনার পর ধর্ষক ইউসুফ আলীকে রাতেই গ্রেফতার করেন। পরে তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া করেন।