কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে মাইশা আক্তার (১৬) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার দেহুন্দা ইউনিয়নের চর দেহুন্দা গ্রামে বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তার মা স্বপ্না আক্তারকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত মাইশা আক্তার চর দেহুন্দা গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় একটি কওমি মাদ্রাসার ছাত্রী।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, স্বপ্না বেগমের সঙ্গে তার খালাতো ভাই ফাইজুলের বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় নিহতের মা ও তার প্রেমিক মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্বপ্না বেগম জানায়, মেয়ে মাইশার সঙ্গে ফাইজুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং অনেকবার সতর্ক করার পরও মাইশা এ সম্পর্ক বজায় রাখায় সে তার মেয়েকে হত্যা করেছে।
এলাকাবাসীর দাবি, স্বপ্নার স্বামী বাবুল মিয়া ঢাকায় থাকেন। এ সুযোগে ফাইজুলের সঙ্গে স্বপ্নার বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার দেন-দরবারও হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে গত বুধবার মাদ্রাসা থেকে ছুটি নিয়ে মায়ের কাছে আসে মাইশা। রাতেই তার মা স্বপ্না আক্তার ও প্রেমিক ফাইজুল মিলে মাইশাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ঘটনার পরপরই মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায় ফাইজুল।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘরে মাইশার নিথর দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইশার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় এবং স্বপ্না বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামছুল আলম সিদ্দিকী জানান, খুনের ঘটনাটি পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত করছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন