English

29 C
Dhaka
শুক্রবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৪
- Advertisement -

বিদ্যালয় কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা শিক্ষক-শিক্ষিকা, অতঃপর…

- Advertisements -

বরগুনার বামনা উপজেলার ছোট ভাইজোড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজেলন্দ শীলকে (৪২) একই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকার সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে এলাকাবাসী। সোমবার বিকাল পাঁচটায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের আটক করা হয়। পরে শিক্ষিকা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষককে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।

সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় বামনা থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নির্মল চন্দ্র শীল অভিযুক্ত শিক্ষককে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ঐ এলাকার জাহাঙ্গীর চৌকিদারের এর পুত্র আল আমিন ও স্থানীয় দোকান্দার হাকিম এবং মিরাজের পুত্র মেহেদী বলেন, আমরা বিদ্যালয়ের মাঠে এসে দেখতে পাই বিদ্যালয়ের নিচের গেটে তালা দেওয়া এবং দোতলায় লোকজন আছে বলে টের পাওয়া যায়। পরে আমরা রেলিং বেয়ে দোতলায় উঠে প্রধান শিক্ষকের রুমের জানালার ফাঁক দিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে দেখতে পাই। পরে প্রধান শিক্ষক আমাদেরকে দোতলায় উঠেছি কেন তা জানতে চায় এবং হুমকি দেয়।

Advertisements

আমরা এই নিয়ে তার সাথে কথা বলার ফাঁকে ওই শিক্ষিকা পালিয়ে যায়। প্রধান শিক্ষকের সাথে বাকবিতণ্ডার মধ্যে এলাকার লোকজন জড়ো হয় এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবু সালেহ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে প্রধান শিক্ষক সুজেলেন্দ শীলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এলাকাবাসী আরও জানান, প্রায়ই স্কুল ছুটির পরে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সুজেলন্দ শীল বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।

বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বশিরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে বামনা থানায় নিয়ে আসে।

রাতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ থানায় আসেন। শিক্ষা কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

Advertisements

উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নির্মল চন্দ্র শীল বলেন, আমরা শিক্ষকদের কাছ থেকে এ ধরনের আপত্তিকর ঘটনা প্রত্যাশা করি না। আমি রাতে শুনে থানা থেকে ছাড়িয়ে এনেছি। আমি সরেজমিনে তদন্ত করে সত্য উদঘাটনের চেষ্টা করবো।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা বজায় রাখতে এখানে কোনো পক্ষপাতিত্বের সুযোগ নেই।  সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং শিক্ষা অফিসারকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

জুটি বাঁধলেন ববি-তায়েব

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন