বিচারপ্রার্থী নারীকে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে হরিশংকরপুর ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার ফারুকুুজ্জামান ফরিদকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার দুপুরে একটি ধর্ষণ মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে হাজির হলে বিচারিক আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলায় অভিযোগে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে শহরতলীর কোরাপাড়া বটতলার এক ব্যক্তির সাথে ওই নারীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর হিসেবে বসবাস করলেও পরে বিয়ে অস্বীকার করে লোকটি। বিষয়টি সমাধানের জন্য এক পর্যায়ে পূর্ব পরিচিত চেয়ারম্যান ফরিদের সাথে আলাপ করেন নারী। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে চেয়ারম্যান গত ১৫ এপ্রিল নরহরিদ্রা গ্রামে তার বাড়িতে ডেকে নেন। ওই নারীর ভাষ্যমতে, ঘটনার দিন বিকালে তিনি ফরিদের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে তাকে দুইতলার একটি কক্ষে নিয়ে যান এবং নেশা জাতীয় কিছু সেবন করিয়ে জোরপূর্বক ফরিদ ও তার খালাতো ভাই নজরুল ইসলাম মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন চেয়ারম্যান তাকে ধর্ষণ ছাড়াও শারিরীকভাবে নির্যাতন করেন। ধর্ষনের পর চেয়ারম্যান ফরিদ এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য নিষেধ করেন। ধর্ষণ শেষে চেয়ারম্যানের গাড়ীচালককে দিয়ে ওই নারীকে বিজয়পুর বাজারে রেখে যান। ১৬ এপ্রিল শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদ তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হওয়ার পর থেকেই বলে আসছেন বিষয়টি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ। ওই নারী তার কাছে বিচারের জন্য যখন এসেছিলেন তখন তার কাছে অন্তত ৫০ জন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। ফরিদ তার নিজ ফেসবুক আইডিতে স্ট্যটাস লিখে দাবি করেন তার বিরুদ্ধে ওই নারীকে দিয়ে মামলা সাজিয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরন।
এ ব্যাপারে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরন জানান, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করেই মামলা গ্রহণ করেছেন। কেন আমি ফরিদের বিরুদ্ধে এসব করতে যাব। কেন আমি তার বিরুদ্ধে এসব করতে যাব।