গোলাপবাগে বিএনপির সমাবেশ থেকে বেশ কয়েটি মোবাইল চুরির অভিযোগ করেছে ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। সে সময় দুইজনকে চোর সন্দেহে গণধোলাই দেওয়া হয় খবর।
গণধোলাইতে আহত দুই জনের মধ্যে এক জনের মাথা ও মুখ ফেটে রক্ত বের হয়। আহত এক জনের নাম জানা গেছে।
তার নাম মো. মুরাদ। তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেন, গোলাপবাগ সমাবেশ স্থলে প্রবেশ পথে পকেটমারেরা দাঁড়িয়ে থাকে। পকেট মেরে তাদের দলের অন্য কাউকে টাকা-মোবাইল দিয়ে দেয়। ’ তবে যাদের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগে এসেছে তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গণধোলাইয়ের স্বীকার হওয়া মুরাদ বলেন, ‘আমি মোবাইল চুরি করি নাই। আমাকে বিনা কারণে তারা মেরেছে। ’
লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. জহির কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অনেকের মোবাইল হারিয়েছে আজ। তারা (পকেটমার) সমাবেশে ঢোকার পথে দাঁড়িয়ে থাকে। সুযোগ বুঝে মোবাইল-টাকা চুরি করে তাদের দলের অন্য একজনের কাছে দিয়ে দেয়। মুরাদকে অনেক বার বলেছি মোবাইল দিয়ে দাও। বিনিময়ে টাকা নাও। সে স্বীকারই করে না। পরে ছেড়ে দিয়েছি। ’
আরেক ছাত্রদল কর্মী মো. হাফিজ বলেন, ‘আমার মোবাইলের বিকাশে ৬০ হাজার টাকা ছিল। মোবাইলে অনেক তথ্য ছিল। সমাবেশে ঢোকার সময় পকেট মেরে নিয়ে গেছে। ’