গাজীপুরে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সাইদুল ইসলাম (২৪) নামে এক গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বাধা দেওয়ায় নিহতের মা ও এক বোনকে কুপিয়ে পালিয়েছে। সোমবার (৮ মে) রাতে গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ সালনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কলেজছাত্রীর নাম রাবেয়া আক্তার (২৩)। তিনি গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা এলাকার আবদুর রউফের মেয়ে।
অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক সাইদুল ইসলাম ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার মহেশতারা গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। তিনি দক্ষিণ সালনা এলাকার একটি মাদ্রাসার শিক্ষক পাশাপাশি একটি মসজিদে নামাজ পড়ান।
জানা যায়, আবদুর রউফ তার স্ত্রী ও চার মেয়েকে নিয়ে দক্ষিণ সালনা এলাকার বসবাস করে স্থানীয় আরএফএল প্লাস্টিক শো-রুমে চাকরি করেন। তার বড় মেয়ে রাবেয়া আক্তার ভাওয়াল সরকারি বদরে আলম কলেজে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ছোট দুই মেয়ে খাদিজা ও জান্নাতকে কোরআন শিক্ষার জন্য স্থানীয় টেকিবাড়ী জামে মসজিদের ইমাম সাইদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন রউফ।
দুই মেয়েকে পড়ানোর জন্য বাসায় যাওয়া-আসার সুবাদে সাইদুল ইসলাম কলেজছাত্রী রাবেয়া আক্তারের দিকে কুনজর দেয়। একপর্যায়ে রাবেয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তার পরিবার সরাসরি ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। পরে সাইদুলকে বাসায় এসে পড়ানোর জন্য নিষেধ করে দেয়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাবেয়া আক্তারের বাড়িতে ঢুকে সাইদুল ছুরি দিয়ে রাবেয়াকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। রাবেয়ার চিৎকারে তার মা, ছোট বোন হাবিবা ও খাদিজা দৌড়ে সেখানে গেলে সাইদুল ইসলাম মা বিলকিস বেগম ও ছোট বোন খাদিজাকেও কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।
পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাবেয়া আক্তার ওই হাসপাতালে মারা যায়। গুরুতর আহত মা ও বোনকে ঢাকা নেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর সদর থানার ওসি জিয়াউল হক বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে সাইদুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেন। আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে।