লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক তরুণী।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল পাটোয়ারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (২ মে) থেকে ওই ইউনিয়নের শৈরশৈ এলাকায় প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। তবে এ ঘটনার পর প্রেমিক বাড়ি থেকে পালিয়েছেন।
অভিযুক্ত প্রেমিক ওই এলাকার হান্নান শেখের বাড়ির পূর্ব পাশে সৌদি প্রবাসী খোরশেদ আলমের ছেলে রাসেল হোসেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২ মে) সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে রাসেলের খোঁজে রামগঞ্জের শৈরশৈ বাজারে আসে ওই তরুণী। এ সময় স্থানীয়রা কোথা থেকে আসছেন বলে তাকে জিজ্ঞেস করে। পরে রাসেলের সঙ্গে দেখা হলে তরুণীকে বাড়িতে নিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয়রা বুঝতে পারলে রাসেলের বাড়ি যান। এনিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় রাসেলের পরিবারের।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, প্রায় এক বছর ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের কথা বলে গত তিন মাস ঢাকায় একটি ভাড়া বাসায় একসঙ্গে বসবাস করে আসছিল। এ সময় আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে রাসেল। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। এখন বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ খবর নিয়ে বিয়ের দাবিতে ও আমার অধিকার আদায়ে তার বাড়িতে এসেছি।
তিনি আরও জানান, বাড়িতে আসার পর রাসেলের মা-বোন আমাকে নির্যাতন করেছে। একই সঙ্গে রাসেলকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তারা। বর্তমানে আমি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তবে রাসেল হোসেন পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত রাসেলের মা পারভিন বেগম জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িতে আসার পর আমি আমার ছেলেকে ওই তরুণীকে নিয়ে বের হয়ে যেতে বলেছি। সৌদি থেকে আমার স্বামীও বলেছে তাদেরকে বের করে দিতে। এলাকার অনেকের ইন্ধনে এই তরুণী আমাদের বাড়িতে এসেছে।
চেয়ারম্যান সোহেল পাটোয়ারী জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ পেয়ে গ্রাম পুলিশ, ইউপি সদস্যসহ তাদের বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি শুনেছি। ওই তরুণীর একটাই কথা রাসেলকে বিয়ে করবে। কিন্তু রাসেল বর্তমানে বাড়িতে নেই। তার পরিবারকে বলেছি তাকে এনে বিষয়টির সমাধান করতে।
রামগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক জানান, এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।