পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মো. জিলানী মিয়ার ছেলে ইয়াসিনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী হোমনা উপজেলার দাড়িগাঁও গ্রামের হাজির বেপারির মেয়ে আসমা আক্তারের বিয়ে হয় ২০১৯ সালে। তাদের ৪ বছর বয়সী মেয়ে নুসরাত ও ৪ মাস বয়সী আয়ান নামের এক ছেলে রয়েছে।
তারা জানান, তাদের মেয়ে আসমা আক্তারকে বিয়ে দেওয়ার পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ ও নির্যাতন করে আসছিল শ্বশুর বাড়ির লোকজন। মেয়ের জামাইকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে বিদেশ পাঠানোর পরও একের পর এক চাপ প্রয়োগ ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই ফলস্বরূপ তারা আমার মেয়েকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বাঞ্ছরামপুর মডেল থানার ওসি নূরে আলম চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যার সংবাদ শুনে আমি এবং সার্কেল স্যার ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ গলা কাটা অবস্থায় ঘরের ভেতরে পরে আছে। সন্দেহজনক দুজনকে আটক করেছি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করার জন্য পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
নিহতের শাশুড়ি জামেলা বেগম বলেন, আমি কিছুই জানি না। আমি সিলেট থেকে এসে দেখি কারা যেন আমার ছেলের বউকে গলা কাইট্টা মাইরা ফালাই রাখছে।