পরনে বিয়ের পাঞ্জাবী, গলায় রঙিন মালা, মেহেদি রাঙা হাতে পড়ানো রাখি। খাওয়া দাওয়া সেরে অপেক্ষা শুধু কাজীর জন্যে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে ধরা পড়েন তিনি। বাল্য বিয়ের অপরাধে বিয়ের আসরেই মেহেদি রাঙা হাতে পড়তে হলো হাতকড়া। ভ্রাম্যমাণ আদালতে পনের দিনের কারাদণ্ড শেষে পাঠানো হলো কারাগারে।
অন্যদিকে বাল্য বিয়ে দেওযার চেষ্টাকালে কনের বাবাকে করা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আঁচারগাঁও ইউনিয়নের পুরহরি গ্রামে।
স্থানীয় সুত্র ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের মেয়ে মনিরা বেগম ঢাকার একটি স্কুলে দশম শ্রেনিতে পড়ে। আজ মঙ্গলবার পাশের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে পায়েল মিয়ার সাথে বিয়ের আয়োজন করা হয় তার। বর কনের বাড়িতে প্রবেশের পর খবর পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদ উদ্দিন। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বর ও কনের জন্ম নিবন্ধন চেয়ে দেখতে পান কনের জন্ম নিবন্ধন ভুয়া। তার বয়স ১৪ হলেও ভুয়া জন্ম নিবন্ধনে দেখানো হয়েছে ১৯ বছর। অপর দিকে বরের জন্মনিবন্ধনে জন্ম তারিখ ২০০০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। সে হিসাবে বয়স দাঁড়ায় ২০ বছর তিন মাস। পরে কনের বাবার কাছ থেকে পূর্ণবয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে অঙ্গিকারনামাসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে শেষ রক্ষা পান।
অপরদিকে বরের নিজের বয়স না হওয়া ও বাল্য বিয়ে করতে এসে অপরাধ করায় পুলিশ তাকে হাতকড়া পড়িয়ে নিয়ে আসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে পনের দিনের কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ উদ্দিন জানান, নতুন যোগদান করে বাল্য বিয়েকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। যেখানেই বাল্য বিয়ের খবর পাবেন সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। আজ বরকে কারাদণ্ডে দন্ডিত করে সেই জানান দেওয়া হয়েছে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন