পিরোজপুরে ভান্ডারিয়ায় সাদিয়া আক্তার মুক্তা (২৭) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী-শাশুড়িসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে েএ ঘটনা ঘটে। সাদিয়া আক্তার ভান্ডারিয়া পৌর শহরের টিএন্ডটি সড়কের মুনিম জোমাদ্দারের স্ত্রী ও ভান্ডারিয়া উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মজিবুর রহমান মুন্সির মেয়ে।
আটকরা হলেন- মুক্তার স্বামী মুনিম, শাশুড়ি ছবি, মুনিমের বন্ধু শাকিব খন্দকার, মারুফ ও সিয়াম খান সজিব।
স্থানীয় ও ভান্ডারিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, ভান্ডারিয়া পৌর শহরের টিএন্ডটি সড়কের মামুন জোমাদ্দারের ছেলে মুনিম জোমাদ্দার বছর খানেক আগে ভান্ডারিয়া শ্রীপুর গ্রামের মজিবুর রহমান মুন্সির মেয়ে মুক্তাকে বিয়ে করেন। কয়েকদিন আগে পারিবারিক কলহের জেরে মুক্তাকে তার স্বামী মারধর করেন। এ ঘটনার পর মুক্তা বাবার বাড়ি চলে যান।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে মুনিম মুক্তাকে নিয়ে আসেন। পরে মুনিম বিকেল ৩টায় তার শাশুড়িকে ফোন করে মুক্তাকে হত্যা করার কথা জানায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে অজ্ঞাত নম্বর থেকে মরদেহের সন্ধান জানিয়ে ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ফোনে একটি কল আসে। খবর পেয়ে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ভোর পৌনে ৪টায় সেখানে যায় এবং মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
মুক্তার স্বামী মুনিম জানান, মুক্তাকে ভান্ডারিয়ার চেচরী রামপুর সেতুর কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই মুনিমের বেশ কয়েকজন বন্ধু অপেক্ষা করছিলেন। তাদের সহযোগীতায় হিজাব পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর বেড়িবাঁধের পাশে মরদেহ ফেলে রাখে। ঘটনাটি মুনিম তার মা ছবি আক্তারকে জানালে তিনি সেখানে মরদেহ দেখতে যান এবং সেখান থেকে মরদেহটি এনে ভান্ডারিয়ার কানুয়া গ্রামের একটি ইট ভাটার পাশে কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখেন।
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান জানান, রাতে অজ্ঞাত নামা একটি ফোন থেকে হত্যার ঘটনা জানতে পেরে ফায়ার সার্ভিসের লোক নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।