বগুড়ায় হেপাটাইটিস-বি পরীক্ষার রিপোর্ট ভুল দেওয়ার অভিযোগ করায় রোগীর স্বজনকে মারধর করেছে সাইক জেনারেল নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মচারীরা। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন হাসপাতাল ভাঙচুর করে।
মঙ্গলবার (৪ মে) বিকেলে বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হাসপাতালের পরিচালকসহ তিনজনকে আটক করে।
আটককৃতরা হচ্ছেন- সাইক জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক রুহুল কুদ্দুস খন্দকার, ম্যানেজার প্রসেণজিৎ কুমার ও কর্মচারী জাহিদ হোসেন।
জানা যায়, বগুড়ার নিশিন্দারা উপশহরের সৌরভ হোসেন সোমবার (৩ মে) তার বোনকে নিয়ে হেপাটাইটিস বি পরীক্ষার জন্য সাইক জেনারেল হাসপাতালে যান। পরীক্ষার পর রিপোর্টে হেপাটাইটিস বি শনাক্ত হয়। পরে মঙ্গলবার (৪ মে) হেপাটাইটিস বি আসলেই হয়েছে কিনা এমন সন্দেহে তারা পুনরায় ওই পরীক্ষা আরো দুই জায়গায় করে। পরীক্ষার রিপোর্ট দুই জায়গা থেকেই নেগেটিভ আসে।
এরপর সৌরভ ওই রিপোর্টগুলোসহ সাইকের দেওয়া রিপোর্ট নিয়ে আবারও বিকেলে সাইক জেনারেল হাসপাতালে যান। সেখানে রিপোর্ট ডেলিভারি সেন্টারে গিয়ে জানায় তারা যে রিপোর্ট দিয়েছে সেটি ভুল। এ নিয়ে সৌরভের সঙ্গে কর্মচারীদের বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায় কর্মচারীরা সৌরভকে মারধর শুরু করে। সৌরভ হাসপাতাল থেকে দৌঁড়ে বাইরে এসে নিরাপদে যাওয়ার চেষ্টা করলে হাসপাতালে বাইরে এসেও কর্মচারীরা তাকে মারধর করতে থাকে। এ সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানার পর উত্তেজিত হয়ে হাসপাতাল ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
বনানী ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহমুদ হাসান বলেন, পুলিশ সেখানে গিয়ে উত্তেজিত জনগণকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছিল, এ সময় পরিচালক রুহুল কুদ্দুস এসে ওই যুবককে পুলিশের সামনেই আবারও কিলঘুষি মারে। পরে হাসপাতালের পরিচালকসহ তিনজনকে আটক করে থানায় পাঠানো হয়।